Saturday, February 1, 2014

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্বেচ্ছাশ্রম

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্বেচ্ছাশ্রম

এক হাতে কালো রঙের কৌটা, অন্য হাতে রঙের ব্রাশ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী। তাঁদের সঙ্গে আছেন ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য। তাঁরা সবাই বিভিন্ন ধরনের মোটর যানবাহন থামিয়ে হেডলাইটের ওপরের অংশ কালো করে দিচ্ছেন।
এমনি করে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় এক হাজার যানবাহনের হেডলাইট কালো রং করা হয়। এতে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশ ও ‘স্যালুট টু পুলিশ’ সংগঠনের ২০ জন সদস্য কাজ করেন। 
গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশ জানায়, গাজীপুরের ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। দুটি মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। প্রায় প্রতিদিনই মহাসড়ক দুটিতে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে রাতে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে, তার বেশির ভাগই হচ্ছে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের হেডলাইটের আলোর কারণে। কেননা গাড়ির হেডলাইনের ওপরের এক-তৃতীয়াংশ কালো রং করার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ গাড়ির মালিক ও চালক তা মানেন না।
গাজীপুর ব্যস্ত নগর হলেও এখানে ট্রাফিক পুলিশের মাত্র ৩০ সদস্য কাজ করেন। সম্প্রতি এখানে সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) পদ যুক্ত করা হয়েছে। ওই পদে যোগ দিয়েছেন এএসপি সাখাওয়াত হোসেন। তিনি সড়কে চলাচলরত যানবাহনের হেডলাইট কালো রং করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু তাঁর একার পক্ষে কাজটি করা সম্ভব নয় দেখে তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্যালুট টু পুলিশ’-এর সদস্যদের সহযোগিতা নেন। ওই সংগঠনের এক বছর পূর্তি ছিল গতকাল।
ট্রাফিক পুলিশ ও স্যালুট টু পুলিশের ১০ জন করে ২০ জন সদস্য গতকাল সকালে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রং ও ব্রাশ নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। বিকেল পর্যন্ত তাঁরা এক হাজার যানবাহনের হেডলাইটে কালো রং করেন।
এএসপি সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে জানান, প্রথম ধাপে গাজীপুর সদর উপজেলার চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল, গাজীপুর-ঢাকা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের হেডলাইটে কালো রং দেওয়ার প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। 
স্যালুট টু পুলিশের সভাপতি জিনাত জোয়ার্দার বলেন, গত বছরের ৪ মার্চ তাঁদের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরু থেকে তাঁরা পুলিশের দুর্নাম ও খারাপ কাজ পরিহার করে জনগণের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে কাজ করছেন। তিনি বলেন, পুলিশের দুর্নাম থাকলেও দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় তারাই জানবাজি রেখে কাজ করছে।


No comments:

Post a Comment