সৃষ্টির সেবায় স্রষ্টার সন্তুষ্টি
সারা দুনিয়ার সমস্ত মাখলুক আল্লাহর পরিবার। আল্লাহর পরিবারের সেবায়
আল্লাহ খুশি হন। সেবা আল্লাহ তাআলার নিকট অত্যধিক প্রিয় একটি আমল।
রাসূলুল্লাহ সা. সেবার কাজ নিজে করেছেন, সাহাবায়ে কেরামকে শিক্ষা দিয়েছেন
এবং এই সেবার কাজে আজীবন তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ইরশাদ
করেছেন, ‘তোমরা জগদ্বাসীর প্রতি সদয় হও, আসমানের মালিক তোমার প্রতি সদয়
হবেন।’ {তিরমিযী শরীফ, হাদীস-১৮৪৭}
রাসূলুল্লাহ সা.-এর প্রতি সর্বপ্রথম যেদিন ওহী নাযিল হয়, ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে
তিনি বাসায় ফেরেন এবং খাদিজাতুল কুবরা রাযি.কে গায়ের উপর কম্বল দেয়ার জন্য
বলেন, সেদিন হযরত খাদিজা রাযি. তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কক্ষনো
নয়, আল্লাহ আপনাকে কখনো বে-ইজ্জত করবেন না। কারণ, আপনি আল্লাহর সৃষ্টির
সেবা করেন, গরীব-দুঃখীদের জন্য কাজ করেন, অসহায়-এতিমের বোঝা লাঘব করেন।
তাদের কল্যাণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।’ {বুখারী শরীফ, হাদীস-৪৫৭২}
যারা সমাজের মানুষের উপকারার্থে সর্বদা নিয়োজিত থাকেন, আল্লাহ কখনো তাদেরকে
অপমানিত করেন না। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘খরচ কর আল্লাহর পথে, নিজেকে
ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। উত্তমরূপে নেক কাজ আঞ্জাম দাও। এভাবে যারা নেক
কাজ আঞ্জাম দিতে যত্নবান, নিশ্চয় আল্লাহ তাদের ভালবাসেন।’ {সূরা ২ বাকারা,
আয়াত-৯৫}
সৃষ্টির সেবা তথা মানব সেবা দুই প্রকার। আত্মিক সেবা ও শারীরিক সেবা।
আত্মার সেবা হচ্ছে, আত্মার পরিপুষ্টতা যেসব কারণে হয় তার এন্তেজাম করা।
যেমন ইলম শিক্ষা করা ও তার উপর আমল করা। যিকির-ফিকির ও আল্লাহর মারেফাত
অর্জনের যাবতীয় বিষয় এর মধ্যে শামিল। যা হক্কানী পীর মাশায়েখ ও আলেম সমাজ
সব সময় আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। আর শারীরিক সেবা হচ্ছে বস্ত্তজগতে বাস করতে গেলে
খাবার-দাবার, ঘর-বাড়ি, ঔষধ-পথ্য ইত্যাদি যা যা প্রয়োজনীয় বস্ত্ত একজন
মানুষের জীবনে প্রয়োজন হয়, সেগুলোর এন্তেজাম করা। শারীরিক সেবার চাইতে
আত্মিক সেবা যে উত্তম, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবুও অনেক সময় শারীরিক সেবার
মধ্য দিয়ে আত্মার সেবাও অনায়াসে করা যায়। এই মানব সেবা ও আখলাকের কারণেই
ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.-এর প্রতি আরবের তাবৎ কাফের
গোষ্ঠী একের পর এক ঝুঁকে পড়েছিল। আপনি দেখুন না, সবাই যেখানে মুহাম্মাদের
ভয়ে ঘর-বাড়ি ফেলে অন্য কোথাও একটু আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করছিল, সেখানে এক
বৃদ্ধা মহিলাও তার গাঁট্টি-বোচকার বোঝা মাথায় নিয়ে তাড়াতাড়ি পলায়ন করছিল।
কিন্তু বয়সের ভারে ও বোঝার চাপে বৃদ্ধা অনেক পিছনে রয়ে গেল। ইত্যবসরে এক
সুদর্শন যুবক এসে বৃদ্ধার মাথার বোঝাটি চেয়ে নিয়ে নিজ মাথায় বহন করে তার
গন্তব্যস্থল নিজ খান্দানের কাছে পৌঁছে দেন। যুবকের এ সেবায় প্রীত হয়ে তার
পরিচয় জানতে চাইল বৃদ্ধা। কে এই মহৎ ব্যক্তি, আজ এই মহা সংকটের সময় আমার এত
বড় উপকার করে দিল? খান্দানের লোকেরা বলল, যে মুহাম্মাদের ভয়ে তুমি এখানে
ধেয়ে এসেছ, সেই তো ঐ যুবক! তখন সাথে সাথে বৃদ্ধা ইসলামের কালেমা পড়ে
মুসলমান হয়ে গেল এবং বলল, এ মহান ব্যক্তি কখনো মিথ্যা বলতে পারে না। তিনি
যা বলেছেন, তাই সত্য। এইতো ছিল সেবার অবদান।
বিশাল এই সৃষ্টি জগত মহান আল্লাহর অস্তিত্বের নিদর্শন। সৃষ্টি জগতের সব
কিছুই স্রষ্টার পরিচয় বহন করছে। সৃষ্টির মাঝেই স্রষ্টার পরিচয় লুকিয়ে আছে।
তাই সৃষ্টি হল স্রষ্টার পরিচয় লাভের মাধ্যম। মহান আল্লাহর ঘোষণা, ‘তারা
উষ্ট্রীর দিকে কেন দৃষ্টিপাত করে না! কিভাবে তিনি তা সৃষ্টি করেছেন এবং
আসমানের দিকেও, কিভাবে তা সুউচ্চ করেছেন।’ {সূরা ৯৬ আলাক, আয়াত-১৭-১৮}
আসমান-যমীন পাহাড়-পর্বত, সাগর-নদী এগুলোর রহস্য আজো অনুদঘাটিতই থেকে গেছে। এ
সবের প্রতি দৃষ্টি দিলে মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের পরিচয় পাওয়া যায়।
সৃষ্টির মাঝে যেমন স্রষ্টার পরিচয় লুকিয়ে আছে, অনুরূপভাবে সৃষ্টির সেবার
মাঝে লুকিয়ে আছে স্রষ্টার সন্তুষ্টি। যে ব্যক্তি যত বেশি সৃষ্টির সেবা
করবে, সে তত বেশি স্রষ্টার কুদরত প্রত্যক্ষ করবে এবং কুদরতীভাবে সে আল্লাহর
সাহায্য লাভ করবে।
‘অবশ্যই একজন মুসলমানের সাদকা তার হায়াত বৃদ্ধি করে, অপমৃত্যু থেকে বাঁচায়,
তার থেকে অহংকার ও অহমিকা মহান আল্লাহ দূর করে দেন।’ {মুজামুল কাবীর,
হাদীস-১৩৫০৮} সুতরাং দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের আর্থিক সহায়তা দান বা অন্য যে
কোনভাবে উপকার সাধন করাটা ধনবানদের নিজের স্বার্থেই জরুরী। দরিদ্র মানুষকে
দান-সদকা করে ধনীরা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে নিষ্কৃতি লাভ করে। এ বিচারে
গরীবরা ধনীদের জন্য চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করে থাকে। মিসকিনদেরকে সদকা করে
এর ফল তাৎক্ষণিক মৃত আপনজনদের রূহে পৌঁছানো সম্ভব হয়। এ বিবেচনায় মিসকিনরা
ধনীদের আত্মীয়-স্বজনদের পরকালীন সুখ প্রাপ্তির মাধ্যম হয়ে থাকে। ধনীরা
দান-খয়রাতের মাধ্যমে মিসকিনদের দুআ লাভ করে। সদকার মাধ্যমে ধনীদের ধন-সম্পদ
যাবতীয় বালা-মছিবত থেকে নিরাপদ থাকে। হাশরের ময়দানে দানশীল ধনীদের জন্য
নেককার দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে। এই সবকিছুর আলোকে
নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, প্রকৃতপক্ষে ধনীরা দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের প্রতি
যে কোন ধরণের সহায়তা করে বা দান-খয়রাত করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করে না, বরং
নিজেরাই নিজেদের প্রতি অনুগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে দরিদ্ররা শুধু উপলক্ষ্য
হয়ে থাকে মাত্র। হাদীস শরীফে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তা করাকে স্বয়ং আল্লাহ
তাআলর সেবা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, কিয়ামতের দিন
আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি পীড়িত হয়েছিলাম, অথচ তুমি আমাকে
দেখতে আসনি। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক প্রভু! (তুমি কিভাবে পীড়িত
হয়েছিলে, আর) আমি তোমাকে কিভাবে দেখতে আসবো? অথচ তুমিই সমস্ত জগতের
প্রতিপালক প্রভু। আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা
পীড়িত হয়েছিল, আর তুমি তাকে দেখতে যাওনি? তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি
তাকে দেখতে যেতে, নিশ্চয়ই আমাকে তার নিকট পেতে? আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে আদম
সন্তান! আমি তোমার নিকট খাবার চেয়েছিলাম, অথচ তুমি আমাকে খাবার দাওনি। সে
বলবে, হে আমর রব, (তুমি কবে আমার কাছে খাবার চাইলে আর) আমি তোমাকে কিরূপে
খাবার দিব? অথচ তুমিই জগতের প্রতিপালক প্রভু। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি কি
জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার নিকট খাবার চেয়েছিল আর তুমি তাকে
খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তুমি তাকে খাবার দিতে, নিশ্চয় তুমি
আমাকে তার নিকট পেতে। আল্লাহ আবার বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি তোমার নিকট
পানি চেয়েছিলাম, অথচ তুমি আমাকে পানি পান করাওনি। তুমি কি জানতে না যে,যদি
তুমি তাকে পানি পান করাতে, তুমি তখন আমাকে তার নিকট পেতে। {মুসলিম শরীফ,
হাদীস-৪৬৬১}
উল্লেখিত হাদীস থেকে বোঝা যায়, অসুস্থ, অভাবী, ক্ষুধার্ত ব্যক্তির সহায়তা
করা যেন মহান আল্লাহকেই সহায়তা করা। প্রশ্ন হতে পারে, আল্লাহ তো
অমুখাপেক্ষী, তাঁর তো কোন সহায়তার প্রয়োজন নেই। আসলে এখানে আল্লাহর সহায়তার
উদ্দেশ্য হল, আল্লাহর পক্ষ থেকে নিজেই সহায়তা লাভ করা, আল্লাহর সন্তুষ্টি
অর্জন করা। অসুস্থ ক্ষুধার্ত অভাবী মানুষকে সহায়তা করলে তারা যেমন খুশী হয়,
অনুরূপভাবে তাদের খুশীর চেয়ে মহান আল্লাহ আরো অনেক বেশি খুশী হন। কেননা
আল্লাহ তাদের স্রষ্টা, তারা আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার চেয়ে
বড় দরদী আর কেউ হতে পারে না। তিনিই তো মহান আল্লাহ, সীমাহীন দাতা, দয়ালু।
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে ধনী ও গরীব দু’টি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। কিছু
মানুষকে বিশেষ দয়ায় বহু নিয়ামত দিয়েছেন, আর কিছু কিছু মানুষকে বিশেষ
হিকমতের কারণে সম্পদের প্রাচুর্য থেকে বঞ্চিত করেছেন, যারা স্বভাবতই ধনীর
সম্পদের মুখাপেক্ষী। ধনী ও গরীবের এ ব্যবধান কারো প্রতি জুলুম নয়। আল্লাহ
তাআলা ইচ্ছে করলে সবাইকে সমান করতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। কারণ, এ
ব্যবধান পৃথিবীর ভারসাম্যের জন্য অপরিহার্য। নিজের যোগ্যতা আর বুদ্ধির বলে
আসলে কেউ সম্পদশালী হতে পারে না। বুদ্ধি আর যোগ্যতাই যদি সম্পদশালী হওয়ার
মাপকাঠি হত, তাহলে সব বুদ্ধিমানরাই সম্পদশালী হয়ে যেত। বাস্তবে দেখা যায়
অনেক বুদ্ধিমান শিক্ষিত মানুষ অভাবগ্রস্থ ও দরিদ্র হয়ে আছে। আবার অনেক
অশিক্ষিত হাবাগোবা ধরণের মানুষ বহু সম্পদের অধিকারী হয়ে বসে আছে। সম্পদের
এই বণ্টন ব্যবস্থা মূলত আল্লাহ কর্তৃক বিশেষ উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। আল্লাহ
পাক মূলত মানুষকে পরীক্ষা করার জন্যই ধনী-গরীবের এই ব্যবধান সৃষ্টি করেছেন।
ধনী তার প্রাচুর্যের মাঝে ডুবে গিয়ে মহান আল্লাহকে ভুলে যায় কি না? আর
গরীব তার অভাবের কারণে নাফরমানীতে লিপ্ত হয় কি না? এই পরীক্ষা গ্রহণ করাই
হল ধনী-গরীবের ব্যবধানের মূল কারণ। আমাদের করণীয় হল, সর্বাবস্থায় মহান
আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকা। তবে সন্তুষ্ট থেকে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। বরং
নিজের সাধ্যানুযায়ী হালাল উপার্জন করাও একটি ইবাদত। মহান আল্লাহর ঘোষণা,
‘যখন নামায শেষ হয়ে যাবে, তখন তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড় এবং অনুসন্ধান কর
আল্লাহর অনুগ্রহ (রিযিক)’ {সূরা ৬২ জুমআ, আয়াত-১০}
মানুষ সামাজিক জীব হওয়ার কারণে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। মানুষের এই
নির্ভরশীলতাই মূলত মানুষকে জানিয়ে দিতে চায় যে, তুমি অপরের সেবার উপর
নির্ভরশীল। ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ সবাইকে কারো না কারো সেবা গ্রহণ করতেই
হবে। মানুষের জন্মের সূচনাতেই মানুষ অপরের সেবার উপর নির্ভর করেই বেড়ে ওঠে।
অনুরূপভাবে শেষ মুহূর্তে কাফন-দাফনের সময়েও মানুষ পুরোপুরি অপরের সেবার
উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ মানুষের শুরু এবং শেষটা যেহেতু অপরের সেবার উপর
নির্ভরশীল, তাই মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়টাতেও একে অপরের সেবক
হয়ে থাকতে হবে। মানুষের এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতা মানুষকে একে অপরের সেবা
করার সবক দিতে চায়। সৃষ্টির প্রতি সেবা করা- এর বহুমুখী ধরণ আছে। আত্মিক
সেবা ও শারীরিক সেবার বিষয়টি দৈনন্দিন জীবন থেকে আরম্ভ করে আন্তর্জাতিক
জীবনের সকল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, সমাজ
বিজ্ঞান ইত্যাদি সকল বিষয়েই সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
বস্ত্তবাদী সভ্যতা যেখানে সেবাকে প্রাধান্য না দিয়ে শুধু উপার্জন আর পুঁজি
সমৃদ্ধ করার বিষয়কেই প্রাধান্য দিচ্ছে, সেখানে ইসলামের সেবার মহৎ দিকটি
আমাদের নিজেদের মাঝে আমলী রূপ দিতে হবে। কেবলমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির
উদ্দেশ্যেই সৃষ্টির সেবা করতে হবে। সেবার প্রতিদান সৃষ্টির কাছ থেকে আশা
করা বোকামী। কেননা, যে নিজেই সেবার মুখাপেক্ষী, সে কিভাবে সেবার প্রতিদান
দেবে। বরং যিনি কারো কোন রকম সেবার মুখাপেক্ষি নন, যাকে তন্দ্রা ও নিদ্রা
স্পর্শ করে না, তার কাছ থেকেই সেবার প্রতিদান আশা করা উচিত। তাই ইসলাম সেবা
করাকে অপরের সুবিধা হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং সেবার মাধ্যমে সেবক নিজেই
উপকৃত হয়। সেবার বহুমুখী উপকারের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ উপকার ও প্রাপ্তি হল,
স্রষ্টার সন্তুষ্টি। মনে রাখতে হবে, সৃষ্টির সেবায় লুকিয়ে আছে স্রষ্টার
সন্তুষ্টি।
লেখক,মাওলানা কাজী ফজলুল করিম।
মুহাদ্দিস ও খতীব, কারবালা মাদরাসা, বগুড়া।
e-mail : kf.karim@yahoo.com